Header Ads Widget

বি বি নিউজ
বাংলা খবর সবার আগে

ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের কফিনে শেষ পেরেক পড়ে গেল বলেই আইনজীবীদের অভিমত |

 

teacher madrasha

বিবি নিউজ ডেস্ক:- দিল্লিতে সিনিয়র এডভোকেটদের সাথে পরামর্শ করে হতাশ ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের এডভোকেট। আইনজীবী মুকুল রোহতগির সাথে ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের কিভাবে বেতন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন এডভোকেট সাহেব। সুত্রের খবর তাতেই মুকুল রোহতি জানান এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়াবে না। উল্টে বিপদ বাড়বে তাদের। সেজন্য তিনি মামলা না করার পরামর্শ দিলেন। ফলে মামলা না করেই কলকাতার বিমান ধরেন আইনজীবী। 

আমাদের সাথে যুক্ত হতে চান?

উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের ৬ শত ১৪ টি মাদ্রাসার ভিতর কিছু মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করে। যার সংখ্যা ২৮২ জনের মতো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে প্রায় সাড়ে নয়শো বেতন প্রার্থী। জানা যায় যার ভিতর প্রায় ৭০০ ক্যান্ডিডেট ভুতুড়ে। এদের পেপাররস ভেরিফাই করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। ভেরিফিকেশনে হাজির হয় সাড়ে পাচশত মত বেতনপ্রার্থী। ৭৮ জনের ভেরিফিকেশন হয়নি, তাদের বিষয়টিই একমাত্র  আদালতে মামলার যোগ্য। বাকি হাজির হওয়া সকলের বেতন কমিটির রিপোর্ট এর ভিত্তিতে খারিজ করে দেয় সরকার। 

এরপর বেতন প্রার্থীদের মামলা হবে অর্ডার হবে বলে আইনজীবীদের একাংশ দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে বেকারদের জীবন ঘোর অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতি সপ্তাহে  দিল্লি যাওয়ার কথা বললেও আদতে যাননা বলেই অভিযোগ।  এদিন আইনজীবী মুকুল রোহতগি এই মামলা নষ্ট হওয়ার জন্য এডভোকেটদের গাছাড়া মনোভাবকেই দায়ি করেছেন। তিনি সঠিক সময়ে এডভোকেটদের ভুল ও দায় এড়ানো পাতি মামলা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। 

সামনেই সামার ভ্যাকেশন। তার ভিতর মামলা করার বা মামলা ওঠানোর চিন্তাভাবনা কোনো এডভোকেটের নেই। ভ্যাকেশন এর পরে মামলা যদি করে তা লিস্ট হওয়া ও শুনানি হওয়া বছর কেটে যেতে পারে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও খুঁড়োর কল দেখিয়ে  একটি মহল তাদের জীবন তীলে তীলে নষ্ট করছে বলেই অভিমত। 

কলকাতা হাইকোর্টের এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের ৬ জন আইনজীবীর সাথে কথা বলে জানা গেলো আর কোনো মতেই ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতনের সম্ভাবনা নেই। তাদের ভিতর কেউ কেউ জানান এই মামলার এডভোকেটরা তাদের মক্কেলদের মিথ্যাচার করে সময় খাচ্ছেন মাত্র। 

আইনজীবী এফ রহমান কেবল আশার কথা শোনালেন যে- একমাত্র আলিগড় মামলার রায় বার হলে যদি ম্যানেজমেন্ট এর হাতে নিয়োগ ক্ষমতা যায় তবেই বেতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। উল্লেখ্য- দেশের গুরুত্বপূর্ণ মামলা আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির মামলা যার শুনানি শেষ দুই মাস হয়ে গেলেও এখনো রায় বার হয়নি। ওই মামলাই গোটা ভারতের সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়ে রাস্তা দেখাবে। আইনজীবীদের আশা সামার ভ্যাকেশনের আগেই সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার রায় বার হতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ   চেঙ্গিস খানের অমীমাংসিত মৃত্যুরহস্য

পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা গুলোকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানবলে উল্লেখ করে। কিন্তু নিয়োগ ক্ষমতা দেয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের হাতে। যা সরাসরি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। ফলে ভারতবর্ষের অন্যান্য সংখ্যালঘুরা যে সুবিধা পায় তা থেকে মুসলিমরা বঞ্চিত হচ্ছে বলেই কন্টাই ম্যানেজমেন্ট মনে করছে। তার এই মামলা চালিয়ে আসছে। আলিগড় মামলার সাথেও যুক্ত কন্টাই ম্যানেজমেন্ট। 

এখন দেখার আর কত দশক এডভোকেটদের দ্বারা বেকার বেতন প্রার্থীরা এই মামলা চালায় ও শেষ হাসি কত বছর পরে হয়। এক বেতনপ্রার্থী আক্ষেপের সাথে বলেন- ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে ২৭ কোটি টাকার ও বেশি লেনদেন হয়েছে। ভালো এডভোকেট না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কয়েক হাজারে এডভোকেট ও কলকাতা থেকে এডভোকেট নিয়ে সম্পুর্ণ টাকা পকেটস্থ করায় আমরা আজ বঞ্চিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ