Header Ads Widget

বি বি নিউজ
বাংলা খবর সবার আগে

বাংলাদেশের মিরপুরে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

Suicide of a transgender woman in Mirpur, Bangladesh

বিবি নিউজ ডেস্ক: 

বাংলাদেশের রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারী আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির হোসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে।

মুন্সি সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী হোস্টেলের ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান (রূপসজ্জাকারী) হিসেবে কাজ করতেন। 

তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

জানা গেছে, মিরপুরের বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন রাদিয়া তেহরিন উৎস। তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলামের সন্তান। গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অডিশন রাউন্ডে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছিলেন তিনি।

মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলিং করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের সভা থেকে সিপিআইএমের জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য যোগদান করলেন তৃণমূলে 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ