বিবি নিউজ ডেস্ক:
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা। আন্যায়ের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত সেই অধ্যাপক রবিউল ইসলামকে আক্রমণের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহলে
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঈদের সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর থানার অন্তর্গত গোয়ালদহ গ্রামে এলাকার দুর্বৃত্তদের দ্বারা বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হলেন তিনি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কলকাতা থেকে নিজ গ্রাম গোয়ালদহ ফিরেছিলেন রবিউল ইসলাম। ঈদের নামাজ শেষ করে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ গোয়ালদহ বাবলা তলার একটি চায়ের দোকানে স্থানীয়দের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় সহ নানা বিষয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্সের এই গনিতের অধ্যাপক । সেই সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাকার পাঁচ সাতজন আক্রমণ করে তাকে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শাড়াফুল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার বিষয় নিয়ে ভারতীয় দন্ডবিধির 341/323/325/308/506/34 ধারা মতে ৫ জন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে স্বরুপনগর থানায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। স্বরুপনগর পিএস কেস নং- 216/2024, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্বরুপনগর থানার পুলিশ।
অধ্যাপক রবিউল ইসলামের উপর বর্বোরোচিত এই হামলার বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন অল ইন্ডিয়া সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সম্পাদক আব্দুল মাতিন, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সম্পাদক কামরুজ্জামান থেকে বসিরহাট বারাসাত অঞ্চলের অগণিত মানুষ। প্রত্যেকেই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
অধ্যাপক রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একটি তোলাবাজ গ্রুপ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আর যেটার নেতৃত্ব দিচ্ছে মাঞ্জুর আলম বিল্লাহ্ নামের এক যুবক। ওদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে আমি বরাবরই রুখে দাঁড়িয়েছি। যেটা ওরা সহজে হজম করতে না পেরে আমার উপর এভাবে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুনঃনবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বংশধরের করুণ কাহিনী
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, মাঞ্জুর আলম বিল্লাহ্ নিজেকে সিপিআই এর একজন নেতা বলে দাবি করেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা থেকে, লোন করিয়ে দেওয়া, এমন কি জমি রেকর্ড ও ভুয়ো দলিল করে দিয়েও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে বছর চল্লিশের এই যুবকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাবলু গাজী নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মাঞ্জুর আলম বিল্লাহ্ আমার কাছে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে, সেসময় অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সাহেব আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
স্বরুপনগর থানার ওসি প্রতাপ মোদক বলেন, অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সাহেবের উপর যে অনাকাঙ্খিত হামলা হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি ইতিমধ্যেই মামলা করেছেন, আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছি, অপরাধীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।
আরও পড়ুন- প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুতবপূর্ণ নোটিশ দেওয়া হল
0 মন্তব্যসমূহ