শরীফ চাচা। হ্যাঁ, এই নামেই গোটা ভারতবর্ষ এখন চেনে লোকটাকে। এবার থেকে গোটা বিশ্ব চিনবে এই একই নামে..! কাগজি নাম, মহম্মদ শরীফ।বয়স ৮০ বছর। উত্তরপ্রদেশ, অযোধ্যার একজন সাধারণ সাইকেল মিস্ত্রী।
১৯৯২ সালের এক পথদুর্ঘটনায় তাঁর বড় ছেলের প্রাণ যায়। তার দেহ আনক্লেইমড অবস্থায় পড়ে থাকে বেশ কয়েকদিন। পরিচয় জানতে না পারায় কেউ হাত দেয় না সেই মৃতদেহে। রাস্তার কুকুররা খুবলে খুবলে খেতে থাকে সেই দেহ।পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দেহ নিয়ে এসে ইসলাম মতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
পুত্রশোকে সাধারণত মানুষ পাথর হয়ে যায়,শরীফ চাচা আরোও বেশি মানবিক হয়ে উঠেছেন সেই দিন থেকে। সেদিন ছেলের জানাজায় হাঁটতে হাঁটতে চাচা সিদ্ধান্ত নেন, আর কোন মৃতদেহ লাওয়ারিশ পড়ে থাকবে না,অন্তত তিনি থাকতে দেবেন না। যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
ছোট সাইকেল রিপিয়ারিংয়ের দোকানের ওপরে ভর করেই শুরু হল সমাজের বুকে পড়ে থাকা লাওয়ারিশ লাশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা। এই অব্দি তিনি সর্বমোট ৪৫০০০ আনক্লেইমড মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। তাঁর এই অলিখিত জয়যাত্রা এখনো অব্যাহত।
শরীফ চাচা পদ্মশ্রী পেয়েছেন। ভালো থাকুন চাচা। আপনাকে দেখেই এই সমাজের বুকে আরো কয়েকটা মহম্মদ শরীফের জন্ম হোক
আরও পড়ুন- সাময়িক ছাড় দিলো ইজরায়েল, গাজায় প্রতিদিন ৩৫০ ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকবে
0 মন্তব্যসমূহ