চেষ্টা করেও পারলেন না ধোনি, প্রথম জয় দিল্লির
বিবি নিউজ ডেস্ক:
রবিবার ভাইজ্যাগে গুরু মহেন্দ্র সিং ধোনির সামনে জ্বলে ওঠেন পন্ত। তৃতীয় ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এখনও আগের মতোই সাবলীল রয়েছেন। এদিন পন্ত দুরন্ত ছন্দে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। সেই সঙ্গে জয়ে ফেরে তাঁর দল দিল্লি ক্যাপিটালসও। ২০২৪ আইপিএলে প্রথম হারের মুখ দেখল চেন্নাই সুপার কিংস।
মহেন্দ্র সিং ধোনির ধামাকা দেখল ভাইজ্যাগ। ৪১ বছর বয়সেও ধোনি যে কতটা সাবলীল, সেটাই দেখিয়ে দিলেন বিশ্ব ক্রিকেটকে। রবিবার ভাইজ্যাগে ধোনির ১৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসই এখন চর্চায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ও যেন ‘ধোনি-ঝড়ের’ সামনে ম্লান হয়ে গেল।
ঋষভ পন্তের ‘গুরু’র দলের বিরুদ্ধেই অবশেষে জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০২৪ আইপিএলে প্রথম হারের মুখ দেখল চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লির দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭১ রানে শেষ হয়ে যায় সিএসকে-র ইনিংস। দিল্লি জেতে ২০ রানে।
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার থেকে ফিরে আসার পর, ২২ গজে প্রত্যাবর্তনটা মোটেও সুখের হয়নি ঋষভ পন্তের। এবার আইপিএলের হাত ধরে ক্রিকেটে ফিরলেও, প্রথম দুই ম্যাচে তিনি নিরাশই করেন। সেই সঙ্গে তাঁর দলও ২ ম্যাচেই হেরে বসে থাকে।
কিন্তু রবিবার ভাইজ্যাগে গুরু মহেন্দ্র সিং ধোনির সামনে জ্বলে ওঠেন পন্ত। তৃতীয় ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এখনও আগের মতোই সাবলীল রয়েছেন। এদিন পন্ত দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। সেই সঙ্গে জয়ে ফেরে তাঁর দল দিল্লি ক্যাপিটালসও।
রবিবার পন্তরা ভাইজ্যাগে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তাদের হোম ম্যাচ খেলে। এবং এই ভেন্যু তাঁদের জন্য ‘লাকি’ হয়ে ওঠে। দিল্লির মাঠ না হলেও, এখানে পূর্ণ সমর্থন ছিল পন্তদের জন্য। আর এই মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। এদিন দিল্লির হয়ে ওপেন করেন পৃথ্বী শ'। এবারের আইপিএলে প্রথম বার খেললেন পৃথ্বী।
ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি পৃথ্বী। দুই তারকা মিলে প্রথম উইকেটে ৯৩ রান করে ফেলেন। ওয়ার্নার ঝোড়ো গতিতে হাফসেঞ্চুরি করে আউট হন। ৩৫ বলে ৫২ করে তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মাথিশা পাথিরানার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি ছয়, পাঁচটি চারে। এর পর আউট হয়ে যান পৃথ্বী শ'ও।
তিনিও আগ্রাসী মেজাজে ২টি ছক্কা এবং চারটি চারের সৌজন্যে ২৭ বলে ৪৩ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ধোনি ক্যাচ ধরেন পৃথ্বীর। পর পর দু'ওভারে দুই ওপেনার আউট হয়ে যান।
তিনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ঋষভ পন্ত। দিল্লি ক্যাপিটালস ২ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন পন্ত। এদিন তিনি ৩২ বলে ৫১ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন। দুর্ঘটনা থেকে ২২ গজে ফেরার পর এটাই প্রথম হাফসেঞ্চুরি পন্তের। এদিন তিনটি ছক্কা এবং ৪টি চার হাঁকিয়েছেন পন্ত।
পাথিরানার বলে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ক্যাচ দেন। তবে তাঁর জন্য দলের ভিত শক্ত হয়। যার নিটফল, ভাইজ্যাগের মাঠে দিল্লি তোলে ১৯১ রান। এর বাইরে দিল্লিরা বাকিরা ১৫ রানের গণ্ডিও টপকাননি। আসলে ৩ উইকেট হারানোর পর পন্ত ছাড়া বাকিরা সেভাবে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি। যে কারণে রানের গতিও ধাক্কা খায়।
বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার পেসার পাথিরানা নজর কাড়েন। তাঁর গতি এবং নিখুঁত ইয়র্কার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খান দিল্লির ব্যাটাররা। পন্তকে আউট করা ছাড়াও, মিচেল মার্শ (১৮) এবং ত্রিস্তান স্টাবসকে (০) বোল্ড করেন পাথিরানা। সিএসকে-র হয়ে পাথিরানা তিনটি উইকেট নেন।
জবাবে ১৯২ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। খালিল আহমেদের দাপটে দলের ৭ রানের মধ্যেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে বসে থাকে চেন্নাই। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সিএসকে-র অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। মাত্র ২ বল খেলে ১ রান করেন তিনি। ১২ বলে ২ করে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র। শুরুতেই সিএসকে-র লড়াইটা কঠিন করে দেন খালিল। এর পর অবশ্য হাল ধরেন অজিঙ্কা রাহানে এবং ড্যারিল মিচেল মিলে।
আরও পড়ুন- ‘ভারতকে শেখাতে আসবেন না’, কেজরির গ্রেপ্তারিতে সরব ধনকড়
0 মন্তব্যসমূহ