ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় অর্ডার দিলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত
সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষকদের বৈধতা যাচাই করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবি প্রসাদ দের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি কি রিপোর্ট দিয়েছিল সরকার প্রকাশ্যে আনতে চায়নি।
সেই নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেন শিক্ষকদের একাংশ। তারপর তড়িঘড়ি রেজুলেশন ও অবজারভেশন ওয়েবসাইটে আপলোড করে মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তর।
কিন্তু এখানেই একটা বিরাট বিষয় সামনে চলে এলো। যে অবজারভেশন আপলোড করে রিপোর্ট বলে দাবী করছে মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তর সেটা আদতে রিপোর্ট বলে মান্য করেনি সুপ্রিম কোর্ট। কারণ যে অবজারভেশন আপলোড করা হয়েছে। মামলাকারীরা সেই অবজারভেশন আরটিআই করে তুলে মামলার সাথে এনেক্সার করেছিল। তারপরেই আদালত রিপোর্ট আপলোড করতে বলে।
এখন রিপোর্ট কোথায়? হয় দেবি প্রসাদ দে কমিটির রিপোর্ট চেপে দেওয়া হয়েছে অথবা রিপোর্ট না লিখে অবজারভেশনই কেবল কমিটি দিয়েছে। ফলে পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট না দিলে আদালত যে পদক্ষেপ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আদালত পরিস্কার জানিয়েছেন যে রিপোর্ট প্রকাশ না করায় মামলাকারী বা এই সংক্রান্ত বিষয়ে যারা আছে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারছেনা।
আদালত জানায় এই মামলা ডিসমিস করলেও মামলাকারীদের জন্য রিমেডি থাকবে। যার অর্থ আদালতে মামলা করতে পারবে।
ফলে রিপোর্ট সরকার দিতে পারবেনা বলেই আইনজীবী মহল মনে করছে। যেভাবে অবজারভেশন দেওয়া হয়েছে তা অনেকাংশেই আবার বাস্তবের বিরোধী। ফলে বেতন প্রার্থীদের মুখে যে চওড়া হাসি তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আইনজীবী আবু সোহেল বলেন- সরকার অবজারভেশনকে রিপোর্ট বলে দাবি করতে পারে। আসলে তা রিপোর্ট নয়। প্রত্যেক বেতন প্রার্থীকে আদালতে মামলা করতে হবে। অবশ্যই প্রত্যেকর বেতন হবে। কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত এপয়েন্টমেন্ট কে ভ্যালিড বলেছে। রিপোর্টে বহু অসংগতি আছে। আদালতে সমস্ত বিষয় গুলো তুলে ধরা হবে।
দুই এডভোকেট চলতি সপ্তাহে মামলার পথেই হাটছে। ফলে বেতন প্রার্থীদের হতাশার ভিতর আশার আলো দেখা যাচ্ছে। দুই এডভোকেট ই বেতনের বিষয় শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে একটা মহল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সিদুরে মেঘ দেখছে। তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অর্ডার তাদের চিন্তার কারণ বলেও ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের দাবী।
1 মন্তব্যসমূহ
উকিলদের পৌষ মাস, ক্যান্ডিডেটদের সর্বনাশ।
উত্তরমুছুন