বিবি নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ তিন-চার মাস পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনিয়মিত বেতন হচ্ছে বলে অভিযোগ। এবার ঈদের আগে হুগলির চন্দননগর এডিআই এর অধীনস্থ মাদ্রাসা গুলোর বেতন হলোনা মাসের সাত তারিখ হয়ে গেলেও। ফলে মুসলিম শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভিতরে হতাশা বিরাজ করছে। চলতি ঈদের কেনাকাটা থেকে দান ও জাকাতের বিষয় থাকলেও তারা ঠিক ভাবে কিছুই করতে পারছেন না।
এয়ার এন্ডিং মাসের পরে প্রথম মাসের বেতন বিলম্ব হয় সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন সারা রাজ্যের লক্ষীর ভান্ডার সহ বিভিন্ন ভাতা উপভোক্তাদের ঢুকে গেছে তখন মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন না হওয়া নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কোনো হেলদোল নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য - মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে শিক্ষকদের মাস পহেলা বেতন শুরু করেন। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকদের মাঝেমধ্যেই বেতন অনিয়মিত হয় বলেই অভিযোগ।
এদিকে বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসার বেতন লক্ষীর ভান্ডার ঢোকার পরেই হয়েছে। শিক্ষক মহলে এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ। শিক্ষকদের বিভিন্ন ওয়াটস আপ গ্রুপে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। তাদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু খাতে অর্থ বরাদ্দ করলেও আধিকারিকদের গাফিলতির কারনে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। তাছাড়া প্রভুদের খুশি করতেও বিভিন্ন গ্রান্ট বিশেষ করে এসিআর ও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ