দীর্ঘ ৯ বছর পর ইরানিরা পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর প্রথম দফায় ৮৫ জন ইরানি ধর্মীয় এ বিধান পালনে রিয়াদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী উড়োজাহাজটি সোমবার (২২ এপ্রিল) তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয়। ২০১৬ সালের পর এটিই প্রথম কোনো ওমরাহযাত্রীবাহী ফ্লাইট। তেহরানের বিমানবন্দরে ওমরাহযাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠানে ইরানে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আনজি উপস্থিত ছিলেন। তিনি আল্লাহর দরবারে তাদের সফলতার দোয়া করেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। ওই বছর সৌদি আরব এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। পরে তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়। এ ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সৌদি আরব পরে গত বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে ইরানিদের ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব।
কিন্তু এরপরও ওমরাহযাত্রীদের নিয়ে ইরান থেকে কোনো ফ্লাইট সৌদি আরবে যায়নি। ইরান এর জন্য কারিগরি সমস্যার কথা বলে আসছিল। রয়টার্স বলছে, গত বছর সম্পর্ক পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ইরানিরা শুধু হজ পালন করতে সৌদিতে যেতে পারতেন।
হজ ধনী মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক একটি ইবাদত। এটি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পালন করতে হয়। কিন্তু ওমরাহ কোনো ফরজ ইবাদত নয়। বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ করার সুযোগ থাকে।
এদিকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আরব দেশগুলোতে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরায়েলে ইরান হামলা করলে জর্ডান ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করে। এ কাজে সৌদি আরবের নেতৃত্ব ছিল বলে শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে ইরানের হামলার খবর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাচারের অভিযোগ উঠেছে সৌদির বিরুদ্ধে। এতে ইসরায়েল মিত্রদের সহায়তায় ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির মাটিতে পৌঁছার আগেই ভূপাতিত করে।
এ পরিস্থিতি ইরানিদের সৌদি আরবে ওমরাহ পালন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বিষয়টি গুরুত্ব রাখবে।
আরও পড়ুন- এবার অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামলা ইসরায়েলের, মৃত-১৪
0 মন্তব্যসমূহ