বিবি নিউজ ডেস্ক:-
কর্মক্ষেত্রে যেতে হোক কিংবা বাড়ি থেকে বেরোতে হোক গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আজকাল সর্বদা আমাদের সঙ্গী হয়ে রয়েছে মোটরসাইকেল। বর্তমানে খুব সহজেই অল্প টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল কিনে নেওয়া যায়।
আর সে কারণেই রাস্তায় বেরোলেই দেখা যায় বাইকের দৌরাত্ম্য। তবে বাইক নিত্যদিন চালালেও অনেকেই জানেন না বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে। আজকের প্রতিবেদনে মিলতে চলেছে তেমনই এক অজানা প্রশ্নের উত্তর।
খুব ভালো করে খেয়াল করলেই দেখা যাবে বাইক বন্ধ করার পরেই শোনা যায় টিকটিক শব্দ। যদিও এই শব্দ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই বাইক চালকদের। তবে এমনও অনেকে রয়েছেন যাদের মনে মাঝে মধ্যে উঁকি দিয়েছে এই প্রশ্নটা। কেন বাইক বন্ধ করার পরেই টিকটিক শব্দ শোনা যায়?
আসলে বাইক চালানোর পরে যখন ইঞ্জিন বন্ধ হয় তখনই শোনা যায় এই টিকটিক শব্দ। অনেকেই হয়তো ভাবেন এটা বাইকের কোন এক ত্রুটি। তবে আসল উত্তরটা কিন্তু তেমন নয় মোটেই। এই শব্দের নেপথ্যে রয়েছে এক অন্য কারণ।
আরও পড়ুন- Realme GT 5 Pro: সত্যিই কি ফ্ল্যাগশিপ কিলার?
আসলে বাইকের সাইলেন্সারে একটি ক্যাটালিটিক কনভার্টার ইন্সটল করা রয়েছে। যখনই কেউ বাইক চালান তখনই সেই বাইকের ইঞ্জিন এবং সাইলেন্সার গরম হতে শুরু করে। আর এতেই কিন্তু সাইলেন্সারের ভেতরে থাকা ক্যাটালিটি কনভার্টারটিও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাপের কারণে ক্রমশই তা প্রসারিত হতে শুরু করে।
এরপর যখনই বাইকটি দাঁড় করানো হয় তখনই অনুঘটক কনভার্টারটি ঠান্ডা হয়ে যায়। যার কারণে এটি সংকুচিত হয় এবং এর ফলে বাইক থেকে নির্গত হয় টিকটিক শব্দ।
কেন বাইকের সাইলেন্সারে ইন্সটল করা হয় এই অনুঘটক কনভার্টার। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই উত্তরটা। আসলে বাইরে হাইড্রোকার্বন এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস রয়েছে। আর এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য বাইকের সাইলেন্সারের ভেতরে একটি অনুঘটক রূপান্তরকারী ইনস্টল করা হয়।
এটি সাইলেন্সারের ভেতরে থাকার কারণে বাইরের গ্যাস গুলির সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসকে খুব সহজেই রূপান্তর করে কার্বন-ডাই-অক্সাইডে। সে কারণেই বাইকের সাইলেন্সারের ভেতরে ইন্সটল করা হয় এই অনুঘটক কনভার্টার।
আরও পড়ুন- BMW G 310 GS: মাত্র 7 হাজার মাসিক কিস্তিতে স্পোর্টস বাইক নিয়ে হাজির BMW
0 মন্তব্যসমূহ