বিবি নিউজ ডেস্ক:-
ট্রলিব্যাগে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে পূর্ব মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পটাশপুর থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের (Bidhannagar Police) পুলিশ।
ধৃত ব্যক্তি ব্যাঙ্কের কর্মী।পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে পটাশপুরে নাকা তল্লাশির সময়, একটি অ্যাপ ক্যাবে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ভোররাতে বালিচক-পটাশপুর রাজ্য সড়কের কেলেঘাই ব্রিজ এলাকায় একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গাড়ি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। তখনই জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিউটাউনে (Newtown Murder) খালে ট্রলিব্যাগ ফেলে পালাচ্ছিল ওই ৩ জন।
তারপরেই খুনে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ব্যাঙ্কে যাতায়াতের সূত্রেই নিহত সুবোধ সরকারের সঙ্গে ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয় হয়। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
সম্প্রতি নিউটাউনে নালা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ট্রলি ব্যাগবন্দি এক ব্যক্তির দেহ। মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি বেলঘরিয়ায় ভাড়া থাকতেন। দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুর থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিউটাউনে কারিগরি ভবনের পিছনে নালা থেকে উদ্ধার হয়েছিস রক্তমাখা ট্রলিব্যাগ। টেকনোসিটি থানার পুলিশ এসে ব্যাগ খুললেই বেরোল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃতের নাম সুবোধকুমার সরকার, বছর পঞ্চান্ন বয়স। ওড়িশায় তাঁর একটি ছাপাখানা ছিল। সেই ছাপাখানা বিক্রি করে বেলঘরিয়ায় এসে মাস তিনেক ধরে ভাড়ায় ছিলেন নন্দননগরে।
এছাড়াও ওই ব্যক্তির শিয়ালদার একটি ঠিকানা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ঠিকানার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ছাপাখানার এক কর্মীকে ছেলের মতো দেখতেন ব্যক্তি। সেই হিসেবে ওই কর্মীর মেয়েকে নাতনি বলে পরিচয় দিতেন। বছর ২৩-এর সেই তরুণী থাকতেন সুবোধের সঙ্গে। শুক্রবার দুপুরে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন তাঁরা। পরে ওই ব্যক্তিকে আর এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে আলো বা সিসিক্যামেরা নেই। তবে অন্য সিসিক্যামেরায় ২টি সন্দেহজনক গাড়ি দেখা গিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ