বিবি নিউজ ডেস্ক:- ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নৌশাদ খানের দুই পুত্র। ভারতীয় ক্রিকেটের হয়ে দুই পর্যায়ে ক্রিকেটে বেশ ভালো পারফরমেন্স করছেন দুই ভাই। একদিকে সরফরাজ খান সুযোগ পেয়েছেন ভারতের সিনিয়র টেস্ট দলে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে সুযোগ পেয়েই বেশ ভালো পারফরমেন্স করেছেন তিনি।
আর অন্যদিকে তাঁর ভাই মুশির খান অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স করার পরে রঞ্জিতেও মুম্বইয়ের হয়ে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছেন। এই মরশুমে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে মুম্বই দল। আইপিএলের নিলামে এবার দল পাননি মুশির খান। তবে তাঁর ব্যাটিং দিয়ে তিনি এখনও আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এবার মাত্র ৩৮ বলে এক মারকাটারি শতরানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
শনিবার ১৯ বছর বয়সী তারকা ক্রিকেটার এই অনবদ্য শতরান করেছেন। এমসিএ অর্থাৎ মহারাষ্ট্র ক্রিকেট আ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টি-২০ কাপে এই দুরন্ত ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। পায়াদে স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলার সময়ে এই অনবদ্য ইনিংসটি উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর বেদম প্রহারে দিশেহারা দেখিয়েছে পিজে হিন্দু জিমখানা ক্লাবের বোলারদের।
মুশিরের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে খেই হারান জিমখানা ক্লাবের বোলাররা। এদিন ব্যাট করতে নেমেই একেবারে খুনে মেজাজে ব্যাট করেন তিনি।এদিন মুশির ওপেন করতে নামেন তাঁর দাদা সরফরাজ খানকে সঙ্গী করে। তবে সরফরাজ খুব দ্রুত আউট হয়ে যান। কিন্তু মুশিরের আত্মবিশ্বাসে একটুও চিড় ধরেনি। ৫৫ বলে তিনি ১৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিন মুশির তাঁর ইনিংস সাজিয়েছেন ৯টি ছয় এবং সাতটি চারে। দীর্ঘ আট বছর বাদে রঞ্জি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই। এটি ছিল তাদের ৪২তম শিরোপা। আর মুম্বইয়ের এই শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুশির। তিনটি ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ৪৩৩ রান। গড় ১০৮.২৫। নক আউট পর্বের ম্যাচেই তিনি করেছেন এই রান।
কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ২০৩ রানের একটি ইনিংস। ফাইনালে খেলেছিলেন ১৩৬ রানের একটি অনবদ্য ইনিংসও। বিদর্ভের বিরুদ্ধে এই ইনিংস খেলে তিনি ওয়াংখেড়েতে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে ম্যাচে কামব্যাক করান। পাশাপাশি বল হাতে সফলতা পেয়েছেন তিনি। বাঁহাতি স্পিন বোলিং করে তিনি তুলে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেটও।
আরও পড়ুন- জলের ট্যাংকে ভয়াবহ আগুন
0 মন্তব্যসমূহ