বিবি নিউজ ৩৬৫ ডেস্ক:-
MC vs MSC মামলায় নতুন মোড়। কন্টাই ম্যানেজমেন্ট আলিগড় সংখ্যালঘু মান্যতা মামলায় যুক্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের সরকারি মাদ্রাসা কমিটি গুলোর একাংশ। একই সাথে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করে।
উল্লেখ্য ৬ ই জানুয়ারি ২০২০ দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন যে- মাদ্রাসা গুলো সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নিয়োগ
স্বচ্ছতার জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ম্যানেজিং কমিটি।
১৭ই জানুয়ারি ২০২৪ শের সেই মামলা লাগে তিন বিচারপতির বেঞ্চে। একই সাথে একই বিষয়ে দুইটা মামলা করায় কিউরেটিভ খারিজ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যার অর্থ আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির মামলার রায়ের উপরেই নির্ভর করবে ম্যানেজমেন্ট ও ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন- রেকর্ড সংখ্যক মানুষের তারাবীহ নামাজ কাবা শরীফে! সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরেও কাতার |
কিউরেটিভ খারিজ হওয়ার পর কটাক্ষ-বানে বিদ্ধ করেছেন বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের সভাপতি ইসরারুল মন্ডল। তিনি বলেন - কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করলো। ম্যানেজমেন্ট কমিটির সব রাস্তা শেষ।
উত্তরে পালটা ম্যানেজমেন্ট এর আইনজীবী আবু সোহেল তার ফেসবুকে লিখেছেন-৭ বিচাপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় সারা ভারতবর্ষের জন্য। কিউরেটিভে ৩ বিচারপতির রায় মূল্যহীন।আমরা ৭ বিচারপতির রায় এর দিকে তাকিয়ে। রায় হোক বুঝে যাবে।
এই রায় সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য হবে।এই রায় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান এ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে নিয়োগ সহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার রুপরেখা তৈরি করে দেবে।ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া সবার বেতন হবেই ১০০%। এবং পরবর্তীতে মাদ্রাসা র সমস্ত নিয়োগ ম্যানেজমেন্ট ই করবে।কোনো কমিশন থাকবে না।শুধু অপেক্ষা এই রায়ের।
আরও পড়ুন- গাজায় যুদ্ধবিরতি: যুক্তরাষ্ট্রের লোক দেখানো প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনের ভেটো
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট বার করার নির্দেশ দিতেই সরকার ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। তা নিয়েও এডভোকেট আবু সোহেল বিবি নিউজকে বলেন- যেভাবে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল তিন সদস্যের ভেরিফাই কমিটি তা সঠিক ভাবে করেনি। ছত্রে ছত্রে ভুলে ভরা। ওই রিপোর্ট টিকবেনা। সময়ের অপেক্ষা।
আইনজীবী গোলাম মহিউদ্দিন বলেন- যে অবজারভেশন আপলোড করা হয়েছে তা আদতে রিপোর্ট ই নয়। কারণ ওই অবজারভেশন আমরা আরটিআই করে কোর্টে দাখিল করেছিলাম। আদালত ওই অবজারভেশনকে রিপোর্ট হিসাবে মান্য করেনি।
আইনজীবী জানান তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কন্টেম্পট ফাইল করবেন। তাছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবিপ্রসাদ দে ২০২৩ সাথে ভেরিফাই করেছেন অথচ তিনি সই করছেন ২০১৭ সালে। সমস্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট মামলার লিবার্টি দিয়ে রেখেছে। আমরাদের রিপোর্ট অসামঞ্জস্য আদালত ক্লারিফিকেশন করবে৷ যারা অথেনটিক জয়েন হয়েছেন ও কাজ করছেন তাদের বেতন হবেই ১০০%।
এদিকে আলিগড় মামলার রায় এপ্রিলের প্রথম দিকে বার হবে বলেই আশাবাদী আইনজীবীরা। যে রায়ের দিকে শুধু ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকরা নয় গোটা দেশ তাকিয়ে।
0 মন্তব্যসমূহ