সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তর
পাঠকের
কলম:- সংখ্যালঘু উন্নয়নের ঢাক পিটিয়ে ফেটে গিয়েছে। তৃণমূলের আমলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর। উল্লেখযোগ্য ভাবে ইমামভাতা আর সংখ্যালঘু স্কলারশিপেই সীমাবদ্ধ পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু মুসলিমদের উন্নয়ন।
বাম আমলের শেষদিকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরকে যেভাবে সাজিয়ে ছিলেন। আজ তার কংকাল বেরিয়ে গেছে।
এরপর চলতি সরকারের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী করা হয় গোলাম রব্বানীকে। যিনি দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় শুধু ফুলের তোড়া নিয়ে চলেছিলেন। দপ্তর সম্পর্কে সম্পুর্ন বেখবর ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে মন্ত্রী চেঞ্জ করা হয়েছে তিনিও দপ্তর সম্পর্কে সম্পুর্ন অজ্ঞ। কেবল একটা বাতি দেওয়া গাড়ি ছাড়া আর কিছুই পায়নি। যারা মুসলিমদের উন্নয়ন করতে পারে তাদের সামনে আনা হয়নি।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের দীর্ঘদিন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি করা হয়েছিল গোলাম আলি আনসারিকে যিনি অন্য দপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তি বিধায় তিনি সময়ই দিতে পারেননি। ফলে সংখ্যালঘু উন্নয়ন থমকে যায়। মাইনোরিটি দপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজারদের রাজত্বে এখন লোন ডিপার্টমেন্ট।
✔আরও পড়ুন
মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের রিপোর্ট প্রকাশ করতে নির্দেশ দিলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত!
মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তরের প্রাণকেন্দ্র ডিরেক্টর অফ মাদ্রাসা এডুকেশন। সেখানে আবিদ হোসেনকে তার রিটায়ার্ড করার পরেও দুইবার এক্সটেনশন করা হয়েছে। আবিদ হোসেন দীর্ঘ তিন বছরের মতো মাদ্রাসা গুলোতে এসি,আর সহ বিভিন্ন গ্রান্ট বন্ধ রেখেছেন। মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতন দেননি, যারা অধিকাংশ সংখ্যালঘু। ITC কম্পিউটার শিক্ষকদের বেতন বন্ধ দীর্ঘদিন তারই কৃতিত্ব এগুলো।
মাদ্রাসা বোর্ডে সেক্রেটারি দীর্ঘদিন। এডিশনাল সেক্রেটারি কর্মজীবন মাদ্রাসা বোর্ডেই শেষ করতে চলেছেন। মাদ্রাসা বোর্ডের মেম্বার এই সরকারের আমলের প্রথম থেকেই একই।
0 মন্তব্যসমূহ