বিবি নিউজ ডেস্ক:-
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ। তবে সেই লিগের জন্য প্রাণ হারালেন এক মহিলা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ভারতে প্রবল জনপ্রিয় একটি টুর্নামেন্ট। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে এই টুর্নামেন্টে।
একদিকে তারকার ছড়াছড়ি, আরেকদিকে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। আইপিএল চলাকালীন যে কেউ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দল গড়তে পারেন। বৈধ বেটিং। সরকারি অনুমতি রয়েছে। আর সেই বেটিং-এর জেরেই প্রাণ গেল একজনের।
আইপিএলের খেলায় বাজি ধরে বারবার হেরে গিয়েছিলেন তিনি। কোটি টাকার বেশি ঋণ ছিল মাথার উপর। কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে রোজ ভিড় করত পাওনাদাররা। টাকা সময়মতো পরিশোধে করতে পারছিলেন না তিনি। ফলে হয়রানির শিকার হন তাঁর স্ত্রী।
শেষ পর্যন্ত দর্শন বাবুর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। দেড় কোটি টাকার বেশি ধার করে ফেলেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করেন। পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন বাবু সেচ দফতরে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন।স্থানীয়দের মধ্যে অনেকের দাবি, দর্শন বাবু মাঝেমধ্যেই অনলাইনে বেটিং অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করতেন। ফলে একটা সময় পর ধারের বোঝা বেড়ে যায় তাঁর।
এদিকে দর্শনের শ্বশুর দাবি করেছেন, তাঁর জামাই নির্দোষ। তাঁকে বেটিং করতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য হয়েই তিনি টাকা ধার নেন। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নেন, তারাই পরে চাপ বাড়াতে থাকে তাঁর উপর।পুলিশের দাবি, ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে রঞ্জিতা আত্মহত্যার কারণ লিখেছেন। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রঞ্জিতা।
আরও পড়ুন- জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল বিশাল সেতু, তলিয়ে গেল একাধিক গাড়ি
0 মন্তব্যসমূহ