বিবি নিউজ ডেস্ক:- বিগত বছর গুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতায় এবার সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। রঙের উৎসবে কালো ত্রিপলে ঢাকা পড়ল মসজিদ। হোলিতে সম্প্রীতি রক্ষায় এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের আলিগড় শহরে।
সে রাজ্যের মোট ৯টি মসজিদকে ত্রিপল দিয়ে ঢাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে দু'টি মসজিদ রয়েছে আলিগড় জেলায়। সার্কেল অফিসার (CO) অভয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, লার সবজি মান্ডি এলাকায় অবস্থিত হালওয়াইয়ান মসজিদ এবং দিল্লি গেট এলাকায় অবস্থিত একটি মসজিদ কালো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
সাথে স্পর্শকাতর এলাকায় জনগণকে মিছিল চলাকালীন শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।
ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে আলিগড়ের আবদুল করিম মসজিদ। মসজিদ প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রশাসনের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ। হোলির সময় যাতে মসজিদের দেওয়ালে কেউ রং না দিতে পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা। এই মসজিদটি আলিগড়ের একটি স্পর্শকাতর এলাকায় অবস্থিত।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর সম্বল জেলা প্রশাসনের তরফে কালো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় মসজিদ যাতে হোলির দিন কোনও বিতর্ক না তৈরি হয় নতুন করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) শিরীষ চন্দ্র জানান, সম্বলের ছয়-সাতটি মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গত বছর হোলির দিন মসজিদের দেওয়ালে রং ছোড়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। তাই এবার আগে থাকতেই সতর্ক প্রশাসন। যেসব রাস্তা হোলি খেলা হয় সেই এলাকার মসজিদগুলিকে কালো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
মুসলিম ব্যবসায়ী কমিটির সাথে যুক্ত ইতেসাম আহমেদ বলেন, 'গত বছরও নকশা মসজিদ, বাজার মসজিদ এবং আর্য সমাজ রোডে অবস্থিত একটি মসজিদ সহ সম্বল জেলার অনেক মসজিদও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।' তাঁর মতে, শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মসজিদ ঢেকে দেওয়া একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।
উত্তর প্রদেশে মুসলিমদের উপরে হামলার ঘটনা নিত্যতার সঙ্গী। গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগে যোগীরাজ্যে সংখ্যালঘুদের উপরও একের পর এক আক্রমণের ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। সব মিলিয়ে, সাম্প্রদায়িক ভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর আলিগড়। এহেন এলাকায় সম্প্রীতি রক্ষায় হোলিতে কালো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় মসজিদ। তবে প্রশ্ন উঠেছে যারা মসজিদে রঙ ছিটায় তাদের উপরে কি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ নেই।
0 মন্তব্যসমূহ