সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের জন্য ভারতের সংবিধান
আব্দুল্লাহ গাজী:- সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের জন্য ভারতের সংবিধান অধিকার বা স্বাধীনতা সংখ্যালঘুরা তাদের মতো করে প্রতিষ্ঠান চালাবে। ভারতের প্রতিটি সংখ্যালঘুরা তাদের মতো করে তারা প্রতিষ্ঠান চালায়। সরকারি হস্তক্ষেপের জায়গা নেই। বিশেষ করে খ্রিস্টান দের প্রতিষ্ঠান । যাতে সরকার বেতন থেকে সব ধরনের সাহায্য পেয়ে থাকে। তাদের স্কুলে তাদের পছন্দ মতো নিয়োগ করতে পারে। সিলেবাস ও তাদের মতো করেই তৈরি করে তারা।
অথচ ভারতের সংখ্যালঘুদের একটা বিশেষ অংশ মুসলিমরা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা গুলোকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান বলে মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু আর,এস,এস আদর্শে লালিত পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান গুলো শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরাসরি মাদ্রাসা বন্ধ করেছে। আর মমতা সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে কিছু অপদার্থের হাতে সেই দায়িত্ব অর্পণ করেছে। ফলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ট্রান্সফার দূর্ণীতির আঁতুড়ঘরে পরিনত হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ উঠছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মুসলিম সমাজের অধিকার কেড়ে নিতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে আইনজীবী দিয়ে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে আর্টিকেল ৩০ এর অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেওয়ায় আন্দোলনে সংখ্যালঘু এক নেতা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে সরকারকে হেল্প করেছেন।
MC vs MSC মামলার দুই বিচারপতির রায় যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের লার্জার বেঞ্চের রায়ের বিপরীত। এমতাবস্থায় আর্টিকেল ৩০ ফিরিয়ে আনার জন্য যারা লড়াই করছে সেই কন্টাই ম্যানেজমেন্ট আইনি পথেই মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা নিয়মিত ভাবেই চেষ্টা করে যাচ্ছে হারানো অধিকার ফিরে পেতে।
এই পথের আইনজীবী আবু সোহেল ইতিমধ্যেই রিভিউ ও কিউরেটিভ ফাইল করেছিলেন। রিভিউ দেরিতে ফাইল করার জন্য খারিজ হয়। কিউরেটিভ তাও গুরুত্ব হারায় আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির মামলার জন্য। যেটা সারা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ক্ষমতা সহ তার এডমিনিস্ট্রেশন কেমন হবে তা সাত বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে। সেই রায় সমগ্র দেশে কার্যকর হবে। এইমামলায় যুক্ত হয়েছেন আইনজীবী আবু সোহেল। তার চিন্তাভাবনা সমস্ত বিষয়টি পরিবর্তন করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে।
৬ ই জানুয়ারি ২০২০ দেশের সর্বোচ্চ আদালত মাদ্রাসা সার্ভিস না কমিটির হাতে নিয়োগ ক্ষমতা থাকবে? সেই নিয়ে রায় প্রদান করে। তাতে বলা হয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা গুলো কিন্তু নিয়োগ ক্ষমতা পাবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। যা সরকার নিয়ন্ত্রিত একটা সংস্থা।
এই রায়ের পর উত্তর প্রদেশ, গুজরাট সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান গুলোর নিয়োগ ক্ষমতা কেড়ে নেয় সেখানকার সরকার। তারাও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে সেই রায়কে। আবু সোহেল সে সকল মামলার পার্টি। যে লড়াই তিনি অক্লান্ত ভাবে করে চলেছেন। তার প্রতিজ্ঞা আর্টিকেল ৩০ এর অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা। তার সাথে ম্যানেজমেন্ট নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতনের বিষয়টিও তার অগ্রাধিকার বিষয়।
অন্যদিকে শিক্ষকদের বেতন মামলার আইনজীবী গোলাম মহিউদ্দিন তার চিন্তাচেতনা যেভাবেই হোক দীর্ঘদিন বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা ছেলেদের বেতন করতেই হবে। সে অনুযায়ী তিনি মামলা সাজাচ্ছেন। তিনি শতভাগ আশাবাদী যারা অথেনটিক তারা বেতন পাবেনই। সেই ভাবেই মামলা সাজাচ্ছেন তিনি।
একটা বিরোধী পক্ষ এই বিষয় নিয়ে বারবার কটাক্ষ-বানে বিদ্ধ করেন। যেই মামলা ডিসমিস হয় বা রিপোর্ট খারাপ দেয় বারবারই বলেন ম্যানেজমেন্টের সব রাস্তা বন্ধ আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এভাবেই প্রতিটি মামলায় মন্তব্য করে তারা। এই বিষয় নিয়ে ম্যানেজমেন্টের এডভোকেট দ্বয় হেসেই বাউন্ডারি হাকিয়ে দেন। এখন দেখার কতদিনে আর্টিকেল ৩০ এর পুর্ণ অধিকার ও বেতন পায় ম্যানেজমেন্ট শিক্ষকরা।
0 মন্তব্যসমূহ