বিবি নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা। এ ঘটনায় দুই সৈন্য ও আট বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। গোয়াদর বন্দরে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতা বাদীদের এ হামলা প্রতিরোধ করে দেশটির সেনাবাহিনী। জানা যাচ্ছে দুই সৈন্য ও আটজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা সায়ীদ আহমেদ উমরানি জানান, বুধবার বন্দর কর্তৃপক্ষের কমপ্লেক্সে গোয়েন্দা সংস্থা ও আধাসামরিক বাহিনীর দপ্তরে বোমা হামলা চালিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রতিহত করেছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর গুলিবর্ষণ করতে থাকে, তারা কমপ্লেক্স ভবনটি তছনছ করার চেষ্টা করতে থাকে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন উমরানি। সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে বেলুচিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি জানান, নিরাপত্তা বাহিনী আট বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করেছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় দুই সৈন্য নিহত হয়েছে। বন্দরে মোতায়েন থাকা সেনারা সফলভাবে হামলা প্রতিরোধ করেছে।এক বিবৃতিতে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তাদের যোদ্ধারা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তরগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বালুচ লিবারেশন আর্মি। এই গোষ্ঠীটি এর আগেও বেলুচিস্তানে ও অন্য জায়গায় পাকিস্তানি ও চীনা স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
কয়েক দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিদ্রোহ সত্ত্বেও পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় খনিজ সমৃদ্ধ এই প্রদেশটিতে চীন ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। তাদের বিনিয়োগেই গোয়াদর বন্দর গড়ে উঠেছে। এই গভীর সমুদ্রবন্দরটি চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) প্রধান স্থাপনা।
স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, বেলুচিস্তানের খনিগুলো থেকে প্রচুর খনিজসম্পদ আহরণ করা হলেও ইসলামাবাদ সরকার এর নায্য হিস্যা প্রদেশটিকে দিচ্ছে না।
0 মন্তব্যসমূহ