বিবি নিউজ ৩৬৫ ডেস্ক: বাংলাদেশে মেঘনা নদীতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাঝনদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কা দিলে পর্যটকবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। নৌকাডুবির ঘটনায় স্ত্রী ও কন্যার মরদেহ উদ্ধারের পর এবার ছেলেসহ পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভৈরব মেঘনা সেতু ও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনসংলগ্ন এলাকার কুচুরিপনার ভেতর থেকে ভাসমান অবস্থায় বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল আটটার দিকে পুলিশের কনেস্টবল সোহেল রানা এবং দশটার দিকে তার ছেলে রাইসুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী ও পরদিন বোরবার বিকেলে মেয়ে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো শনাক্ত করেছেন সোহেল রানার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল আলিম। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচাত ভাই মো. ইমরান হোসেন।
ইমরান হোসেন জানান, সকাল আটটার দিকে সোহেল রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সকাল দশটার টার দিকে ছেলে রাইসুলের মরদেহও পাওয়া গেছে। দুপুরে জানাজা শেষে স্ত্রীর পাশে সোহেল রানা ও তার ছেলেমেয়েকে পাশাপাশি দাফন করার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহগুলো দেবিদ্বারের গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত সোহেল রানার (৩২) বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফতেহাবাদ গ্রামে। তিনি ভৈরব হাইওয়ে থানায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি।
নৌপুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভৈরব মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও তার শিশুপুত্র রাইসুলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তার স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। মরদেহগুলো নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাঝনদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কা দিলে পর্যটকবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। ওই ট্রলারে পুলিশ সদস্য সোহেল রানাসহ তার পরিবারের পাঁচজন ছিলেন। ভাগ্যক্রমে ভাগনি মারিয়া বেঁচে গেলেও নিখোঁজ হন সোহেল রানাসহ তার পরিবারের চারজন।
0 মন্তব্যসমূহ